তোফয়েল আহমেদ
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর, ২০১৩ ১৬:৫৪:৩৬
অনেকেই প্রশ্ন করেন, সেদিনের অর্থাৎ আমাদের যুগের রাজনীতি কেমন ছিল? আসলে সেদিনের রাজনীতিই ছিল সত্যিকারের রাজনীতি। আমদের ছাত্রাবস্থায় তখন যারা রাজনীতি করতেন, তাদের ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া কিছু ছিল না। রাজনীতির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-আদর্শ ছিল। কতো কষ্ট, ত্যাগ স্বীকার করে আমরা ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠা করেছি। ডাকসুর ভিপি ছিলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। অথচ এমন দিন গেছে অফিস ভাড়া দিতে পারিনি। আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল, জাতীয় মুক্তি অর্জনের লক্ষ্য ছিল। আমাদের জীবনে কোনো বিলাসিতা ছিলো না। শৈশব থেকে বিকশিত জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলোই তার সাক্ষ্য বহন করে।
ছেলেবেলা থেকেই আমি লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী ছিলাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা শুরু করি। তখন প্রত্যেকটি ক্লাশে প্রথম হতাম। বর্ষাকালে কর্দমাক্ত পথে খালি পায়ে স্কুলে যেতাম। কিন্তু স্কুলে যাওয়া আসা কষ্টকর ছিল। এ বয়সের একটি ছেলেকে ৭ মাইল পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। বাধ্য হয়ে প্রথমে আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে এবং পরবর্তীতে তিনটি বাড়িতে লজিং থাকতে হয়েছে। অপরের বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। তারা আমাকে খুবই ভালবাসতেন। যখন আমার বয়স ১৩, তখন বাড়ির পাশে খায়েরহাট হাই স্কুলে ভর্তি হই। নিয়মিত বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম।
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর, ২০১৩ ১৬:৫৪:৩৬
অনেকেই প্রশ্ন করেন, সেদিনের অর্থাৎ আমাদের যুগের রাজনীতি কেমন ছিল? আসলে সেদিনের রাজনীতিই ছিল সত্যিকারের রাজনীতি। আমদের ছাত্রাবস্থায় তখন যারা রাজনীতি করতেন, তাদের ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, চাওয়া-পাওয়া কিছু ছিল না। রাজনীতির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য-আদর্শ ছিল। কতো কষ্ট, ত্যাগ স্বীকার করে আমরা ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠা করেছি। ডাকসুর ভিপি ছিলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। অথচ এমন দিন গেছে অফিস ভাড়া দিতে পারিনি। আমাদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল, জাতীয় মুক্তি অর্জনের লক্ষ্য ছিল। আমাদের জীবনে কোনো বিলাসিতা ছিলো না। শৈশব থেকে বিকশিত জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলোই তার সাক্ষ্য বহন করে।
ছেলেবেলা থেকেই আমি লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী ছিলাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা শুরু করি। তখন প্রত্যেকটি ক্লাশে প্রথম হতাম। বর্ষাকালে কর্দমাক্ত পথে খালি পায়ে স্কুলে যেতাম। কিন্তু স্কুলে যাওয়া আসা কষ্টকর ছিল। এ বয়সের একটি ছেলেকে ৭ মাইল পথ পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো। বাধ্য হয়ে প্রথমে আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে এবং পরবর্তীতে তিনটি বাড়িতে লজিং থাকতে হয়েছে। অপরের বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। তারা আমাকে খুবই ভালবাসতেন। যখন আমার বয়স ১৩, তখন বাড়ির পাশে খায়েরহাট হাই স্কুলে ভর্তি হই। নিয়মিত বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম।